‘পড়তে বসলেই তার পেটে ব্যথা আরম্ভ হয়ে যায়, তবে মোবাইলে গেম দেখতে উৎসাহি খুদে’, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক খুদের দুষ্টু মিষ্টি এই ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে
পড়াশোনার নামে পেটে ব্যথা জ্বর আরো কত কত বাহানা চলে আসে ছোট্ট বাচ্চাদের মাথায়। পড়াশোনা করতে যেন একদমই মন চায় না তাদের। সারাদিন শুধু খেলা আর মোবাইলে গেম খেলা এই দুটো নিয়ে থাকতে চায় তারা।
বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও স্মার্টফোনের নেশা ধরেছে সারাক্ষণই তারা কেবল স্মার্টফোনে গেম খেলতে চাই আর এর ফলেই পড়াশুনায়, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, নাওয়া-খাওয়া সবকিছুতেই ব্যাঘাত ঘটছে।
এই সমস্ত দিকগুলোতে বাবা-মাকে বিশেষ নজর দিতে হয়। ছেলে-মেয়েদের সঠিকভাবে মানুষ করতে গেলে ছোট থেকেই তাদের ওপর একটু কড়া নজর দিতে হয় সকল মা-বাবাদের। যাতে তারা সঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া করে পড়াশোনা করে এবং খেলার সময় খেলে।
তার দিকে যেন বিশেষ নজর দিতে হয় বাবা-মা দের। তবে এখনকার যুগের বাচ্চারা বেশির ভাগ সময়ই মোবাইলেই মগ্ন হয়ে থাকে, বাবা-মা তাদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেন এবং নিজেদের কাজে মগ্ন হয়ে পড়েন। এর ফলে যে ছোট বাচ্চা সহ তার ক্ষতি হচ্ছে এই হুশ আর থাকে না কারোর।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলেই বিভিন্ন ধরনের মজার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেরকমই এক ছোট বাচ্চার মজাদার ভিডিও ভাইরাল হলো নেট পাড়ায়। পড়াশোনার নামে শরীর খারাপ হয় তার, তার দিদিমণি পড়াতে আসলে তার কেবলই পটি পায়।
পটির বাহানায় বারবার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটায় খুদে। অগত্যা দিদিমণি ও কি করবে মাঝপথেই পড়ানো থামিয়ে দিতে হয় তাকে। লিখতে মোটেই ভালোবাসে না সে বরং মোবাইলে গেম দেখাতে সে বেশি উৎসাহী। পড়াশোনার নামই চোখে জল চলে আসে তার। একদিন পড়াতে গিয়ে এরকমই একটি ভিডিও বানালেন তার দিদিমণি, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই রীতিমতো ভাইরাল ভিডিওটি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে খুদে কে পড়াশোনা করতে বলায় চোখে জল চলে আসে, পেটে ব্যথা আরম্ভ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু যখনই দিদিমণি তাকে বলছে ফোন দেখতে দেবে তখনই তার কান্না উধাও। উৎসাহিত বলছে ফোন দেখবে সে, পড়াশোনা করতে তার মোটেই ভালো লাগছে না।
ইতিমধ্যেই ৪৮ লক্ষেরও বেশি ভিউ পড়েছে ভিডিওটিতে প্রচুর মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং লাইক করেছেন। ছোট এই খুদের মজাদার এই ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে।