আজ তিনি সশরীরে বেঁচে না থাকলেও বেঁচে রয়েছেন সকলের মনে। একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। তার জীবনের গল্পটা যেন ছিল পুরো এক সিনেমার চিত্রনাট্য। তবে তিনি কীভাবে বনি কাপুরের সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়েছিলেন তা এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন স্বয়ং বনি-কাপুর নিজে। তখন সালটা ২০১৩।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে পর্দায় এক তামিল ছবিতে দেখেছিলেন শ্রীদেবীকে। প্রথম দেখাতেই মন দিয়ে বসেছিলেন তাকে। এর পরেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন ছবি করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই পাড়ি দিয়েছিলেন ছেন্নাই। সেই সময়ে হাওয়া হাওয়াই এর অভিনেত্রী ছিলেন সিঙ্গাপুরে। তার কিছুদিন পরেই তাদের সাক্ষাৎকার হয়।
সেটা যখন প্রথম শ্রীদেবী বনি কাপুরের পলকে মনে হয়েছিল তার স্বপ্ন যেন হঠাৎ সত্যি হয়ে গেল। তখন অভিনেত্রী ছিলেন বেশ ইন্ট্রোভার্ট। সকলের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারতেন না তিনি নিজেকে সবসময় গুটিয়ে রাখতেন। এমনকি অভিনেত্রীর পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলতেন তাঁর মা।
তাই ছবিতে সই করানোর আগে বনি পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রীর মায়ের কাছে। যখন অভিনেত্রীর মাল জানিয়েছিলেন ও কোন ছবিতেই পারিশ্রমিক ১০ লাখের নিচে নেয় না। সেই মুহূর্তেই বনি কাপুর তার মাকে প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিলেন “আমি দিতে রাজি ১১ লাখ টাকা।” এই শুনে তৎক্ষণাৎ অভিনেত্রীর মায়ের খুব পছন্দ হয় তাকে। তারপরে কিছু দিনের মধ্যেই সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের মধ্যে। এমনকি বনি কাপুর নিজে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন সে কথা।
তবে শোনা যায় বনি কাপুরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মনা কাপুর এবং শ্রীদেবী খুবই ভালো বন্ধু ছিল। তবে এতটা ঘনিষ্ঠতার কথা জানতেন তিনি বড্ডো লেট করে ফেলেছিলেন। তাদের সংসার তখন প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই সংসারে শ্রীদেবী ঠিক কতটা সুখী ছিলেন তা নিয়ে আজও রয়েছে হাজার প্রশ্ন। শোনা যায় বনি কাপুরের সঙ্গে নানান অশান্তির জেরে শেষের দিকে খুব একটা মন ভালো থাকতো না তার।