আজ তিনি সশরীরে বেঁচে না থাকলেও বেঁচে রয়েছেন সকলের মনে। জীবনকালে একাধিক অভিনেতার সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে অন্যতম মিঠুন চক্রবর্তী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে এ কথা অস্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল যে তিনি তাকে বিয়ে করেছিলেন। শ্রীদেবীর সাথে তার সম্পর্ক এতটাই বেশি চর্চিত ছিল যে মিঠুনের সংসার ভাঙ্গার জন্য তিনি দায়ী করেছিলেন শ্রীদেবীকে। শ্রীদেবীর সাথে এরকম গোপন বিবাহসূত্রে আবদ্ধ একথা জেনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি।
এভাবে এই অভিনেত্রীর জীবনটাই যেন এক সিনেমার চিত্রনাট্য। মিঠুনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জন্য উত্তাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যম। যদিও সেই সম্পর্কের পরিণতি পায়নি। মিঠুনের আগেকার স্ত্রী যোগিতা বালি সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি মিঠুন এবং শ্রীদেবীর বিবাহ সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন।
একটি পত্রিকাতেও তাদের দুজনের বিয়ের শংসাপত্র ছাপানো হয়েছিল। তবে এই সম্পর্ক খুব বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে এর পিছনে কারণ শুধুমাত্র এটাই ছিল যে মিঠুন চক্রবর্তী বিবাহিত। মিঠুনের সহযোগিতা তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যদি তিনি শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তাহলে যোগিতা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন।
যোগীতার জন্যই মিঠুনের কাছ থেকে সরে আসেন শ্রীদেবী। শুধু মিঠুন ইন অন আরো হাজার হাজার পুরুষের ড্রিমগাল ছিলেন তিনি। জীবনের অনেকদিন পরে শেষ অবধি দুই সন্তানের বাবা কে পছন্দ হয়েছিল তার। তিনি তারই গলায় মালা পড়িয়ে ছিলেন। তবে অভিনেতা বনি কাপুরেই বা কেন শ্রীদেবীকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর জল্পনা। শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ার আগেই বিবাহিত ছিলেন তিনি। শুধু বিবাহিত নন এমনকি দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুশা কাপুরের বাবা ছিলেন তিনি।
তবে প্রথমে কিন্তু এই এভারগ্রীন অভিনেত্রী বনি কাপুরের প্রেমে পড়েননি। তাকে আকর্ষিত করতেই শ্রীদেবীর কাছাকাছি থাকতেন তিনি। বনি কাপুরের স্ত্রী মোনা কাপুরের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধু ছিল। এই বন্ধুত্বের খাতিরে জন্যই মাঝেমধ্যে যাতায়াত ছিল বনি কাপুরের বাড়িতে। ‘রূপ কি রানি চরণ কা রাজা’ ছবির পর প্রায় একমাস বনি কাপুরের বাড়িতে ছিলেন। তখন সালটা ১৯৯৬। এই খবর শুনে অনেকেই হতবাক হয়েছিল হতবাক হয়েছিলেন মোনা ও। তবে এতটা ঘনিষ্ঠ এর কথা খুব দেরীতেই জানতে পেরেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র শ্রীদেবীকে পাওয়ার জন্যই মনা কাপুরকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। শুধু মোনাকেই নয় তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন দুই সন্তানকেও।