‘ছেলেকে বৌমার পাশে দেখলেই মাথা ধরে সৃজনের মায়ের!’ বিরক্তিকর হলেও ঘোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে নিম ফুলের মধু বক্তব্য নেটিজেনের!
খুব কম মা আছেন যারা ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরে খুব হাসিখুশি মনে বৌমাকে একসেপ্ট করতে পারেন। বেশিরভাগ মায়েরাই বিয়ের পর ছেলে বৌমার একসাথে টাইম স্পেন্ড করলে সেটা সহ্য করতে পারেন না, তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়। বিয়ের আগে একজন ছেলে মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী চলে কিন্তু বিয়ের পর এই চিত্রটা বদলে যায় ছেলেরা তখন তাদের স্ত্রীদের সাথে একটু বেশি সময় কাটায় এবং কোন কিছু ব্যাপার স্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করে, এই পরিবর্তনটাই মেনে নিতে পারেন না বেশিরভাগ মায়ের। বিয়ের পর এই ঘোর বাস্তব চিত্রটাই দেখানো হচ্ছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে।
জি বাংলার নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে, ছোট থেকেই যৌথ পরিবারের স্বপ্ন ছিল পর্নার, তাই তার মা যখন বিদেশে থাকা পাত্রের খোঁজ করছিল তার জন্য, তখন পর্ন চেয়েছিল একটা যৌথ পরিবারে বিয়ে করতে আর তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় সৃজনের সাথে তার বিয়ের পর। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয় তাদের।
কিন্তু বিয়ের পর সৃজনের মায়ের সমস্ত কিছুতেই আপত্তি থাকে। ছেলে বৌমার সাথে সময় কাটালেও তার অসুবিধা আবার ছেলে বৌমার সাথে ছবি তুললেও তার প্রবলেম, ছেলে বউয়ের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটালেও তার অসুবিধা হয়। তিনি এটা সহ্য করতে পারেন না, তিনি মনে করেন তার ছেলে পর হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জি বাংলার নিম ফুলের মধুতে দেখানো হচ্ছে যে,পর্না আর সৃজন যখন একসাথে ঘরে বসে গল্প গুজব করছিল তখন তার ঘরে আড়ি পাতে সৃজনের মা। সে তার স্বামীকে বলে, আমার ছেলেটা পর হয়ে যাচ্ছে।
পর্নার শ্বশুরমশায় বলে, বিষয়টাকে স্বাভাবিক ভাবে নাও, বিয়ের পর সব ছেলেরাই তাদের বউয়ের সাথে হাসি ঠাট্টা করে, তাদের বউয়ের সাথে সময় কাটায়। এরপর সৃজনের মা সৃজনের ঘরে ঢুকে বলে তার মাথা ব্যাথা করছে। সৃজন তখন মাকে মাথা টিপে দেওয়ার জন্য বেরিয়ে আসে।স্বাভাবিক ভাবেই এই মায়ের কারণে পর্না আর সৃজন এর মধ্যে অভিমানের পাহাড় জমতে শুরু করে। ভিডিওটা দেখে নেটিজেনদের একাংশ বলছেন যে,‘বেশিরভাগ মায়েদের মেন্টালিটি তুলে ধরেছে এই ধারাবাহিক।’